মেমারী থানার পুলিশ গ্ৰেপ্তার করলো ৭ বিজেপি নেতাকে : থানা ভাঙচুর , পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগ

25th July 2020 9:58 pm বর্ধমান
মেমারী থানার পুলিশ গ্ৰেপ্তার করলো ৭ বিজেপি নেতাকে : থানা ভাঙচুর , পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগ


বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান )  : থানায় হামলা ও ভাঙচুর সহ পুলিশকে গালিগালাজ করে হেনস্থা করার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থানার পুলিশ গ্ৰেপ্তার করলো ৭ জন বিজেপি নেতাকে । ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন জেলার রাজনীতিতে । ধৃতদের পেশ করা হয়েছে বর্ধমান আদালতে ।  শুক্রবার বিকালে মেমারি থানা চত্ত্বর থেকেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ।   পুলিশ জানিয়েছে , ধৃতদের নাম  প্রশান্ত দাস, অমরেশ মজুমদার, গুরুদাস রায়, জয়ন্ত বিশ্বাস, সৌতি রায়, স্বপন রুইদাস ও তারক মাঝি। ধৃতরা মেমারি থানার আমাদপুর, দেবীপুর, মহেশডাঙা ৩ নম্বর ক্যাম্প, তাতারপুর ও কদমপুকুর এলাকার বাসিন্দা ।  
পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ থেকে ৫টি লাঠি, লোহার রড, পাথর, ৮টি বাইক  মিলেছে । সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মণিকা চট্টোপাধ্যায় (সাহা ) ধৃতদের  ৭ আগষ্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন । 

জানা গিয়েছে মেমারি থানার মোষপুকুর এলাকায় বসবাস করেন দেবাশিস মালাকার । তিনি ফিস্টের টাকা দিতে চাননি বলে  তাঁকে  মারধর করা হয় । দেবাশীষ মালাকারকে মারধোরের  অভিযোগে মেমারি থানার পুলিশ জগাই কর্মকার নামে এক ব্যক্তিকে  গ্রেপ্তার করে।  এই গ্রফতারির  প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে ৫০-৬০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক মেমারি থানার মূল গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । তারা তাঁদের  দলের সমর্থকের মুক্তির দাবি জানাতে থাকে ।পুলিশ জানিয়েছে ,‘বিক্ষোভ চলাকালীন বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করা শুরু করে । থানা চত্ত্বর থেকে চলে যেতে বলায়  বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে  বচসা শুরু করে দেয় । পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর  ছোঁড়া শুরু করে ও পুলিশকে লাঠি দিয়ে পেঠায় ।  পুলিশের গাড়ি লক্ষ‍্য‍ করে পাথর ছোঁড়ে । তাতে পুলিশের দুটি গাড়ির সামনের কাঁচ ও ভেঙে যায় । মারধোরে পুলিশের কয়েকজন আহত হয়।  পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করে  বিক্ষেভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেদেয় ।’ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭ জনকে ধরে ফেলে  । স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।