বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান ) : থানায় হামলা ও ভাঙচুর সহ পুলিশকে গালিগালাজ করে হেনস্থা করার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থানার পুলিশ গ্ৰেপ্তার করলো ৭ জন বিজেপি নেতাকে । ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন জেলার রাজনীতিতে । ধৃতদের পেশ করা হয়েছে বর্ধমান আদালতে । শুক্রবার বিকালে মেমারি থানা চত্ত্বর থেকেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে । পুলিশ জানিয়েছে , ধৃতদের নাম প্রশান্ত দাস, অমরেশ মজুমদার, গুরুদাস রায়, জয়ন্ত বিশ্বাস, সৌতি রায়, স্বপন রুইদাস ও তারক মাঝি। ধৃতরা মেমারি থানার আমাদপুর, দেবীপুর, মহেশডাঙা ৩ নম্বর ক্যাম্প, তাতারপুর ও কদমপুকুর এলাকার বাসিন্দা ।
পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ থেকে ৫টি লাঠি, লোহার রড, পাথর, ৮টি বাইক মিলেছে । সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মণিকা চট্টোপাধ্যায় (সাহা ) ধৃতদের ৭ আগষ্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
জানা গিয়েছে মেমারি থানার মোষপুকুর এলাকায় বসবাস করেন দেবাশিস মালাকার । তিনি ফিস্টের টাকা দিতে চাননি বলে তাঁকে মারধর করা হয় । দেবাশীষ মালাকারকে মারধোরের অভিযোগে মেমারি থানার পুলিশ জগাই কর্মকার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। এই গ্রফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে ৫০-৬০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক মেমারি থানার মূল গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । তারা তাঁদের দলের সমর্থকের মুক্তির দাবি জানাতে থাকে ।পুলিশ জানিয়েছে ,‘বিক্ষোভ চলাকালীন বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করা শুরু করে । থানা চত্ত্বর থেকে চলে যেতে বলায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেয় । পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে ও পুলিশকে লাঠি দিয়ে পেঠায় । পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে । তাতে পুলিশের দুটি গাড়ির সামনের কাঁচ ও ভেঙে যায় । মারধোরে পুলিশের কয়েকজন আহত হয়। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করে বিক্ষেভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেদেয় ।’ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭ জনকে ধরে ফেলে । স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ।